
কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার সব আয়োজন করে ফেলেছে আমলা শাসিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিএনপি সরকারের হাতে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই চালু ছিলো শিক্ষক পদে প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ পেতে আগ্র্রহীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিধান। আমলা-মামলা ও হামলায় প্রতিষ্ঠানটি প্রায় তছনছ হয়ে গেছে গত ১৬ বছরে। জটিল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে ধীরে ধীরে। ২৫ মে রোববার সকাল সাড়ে দশটায় আয়োজন করা হয়েছে আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের। যেটাকে কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার সঙ্গে তুলনা করেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক পদে প্রার্থী বাছাইয়ে জন্য লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই রোববারের বৈঠক ডাকা হয়েছে। শুধু এমসিকিউ নেওয়ার সব আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। যুক্তিও খাড়া করা হয়েছে।
বৈঠকে যুক্তি দেখানো হবে. সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার পদ শূন্য। আর এতে পড়াশোনা মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। অথচ দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার। আর প্রচলিত প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করতে দুই বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। তাই এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়ে তিনদিনে রেজাল্ট দিয়ে আর চতুর্থ দিন থেকে ভাইভা শুরু করে দ্রুততার সঙ্গে হাজার হাজার শূন্য শিক্ষক পদ পূরণ করা যাবে। একদম টোটকা চিকিৎসা! মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠেয় এই মিটিংয়ে অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে কোরাস গাইবেন যুগ্ম ও উপরাও। আর যেহেতু জুনিয়ররা সবাই একই ক্যাডারের এবং কাছাকাছি মেধার তাই তাদের সিদ্ধান্তে সায় থাকবে বড় কর্তারাও! অন্য ক্যাডারের যারা অংশ নেবেন রোববারের বৈঠকে তারা মনোযোগী শ্রোতা হয়ে থাকাকেই শ্রেয় মনে করবেন বলে অগ্রীম খবর পেয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের নানা ধাপে তক্কে তক্কে থাকা দৈনিক শিক্ষার সাংবাদিকরা।
বিশেষ ঘোষণা: এ বিষয়ে মতামত জানুন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন-এর।