
রাজশাহীতে বিএনপির এক জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ক্ষমার অযোগ্য, রাজনৈতিক গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। সেজন্য গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যনারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটির সদস্যরা।
মানববন্ধন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশ উন্নত দেশের কাতারে যাবে। সে কাজটি করার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প নেই। অনেকে চান না যেন বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। সেজন্যই এই হুমকিগুলো আসে। কিন্তু দেশের সকল মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দাঁড়াবে। আমরা আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমিতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই এ ধরনের হুমকি সামনের দিনগুলোতে প্রতিহত করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। তাকে তাকে হত্যা করে যারা এ দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ক্ষমা নেই। শেখ হাসিনা যেমন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তেমনিভাবে আগামীতে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যিনি হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি ব্যক্তি নন, তিনি দলের প্রতিনিধি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে অবিলম্বে জানতে হবে কীভাবে সে ঘোষণা দিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন ভাষায় হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটি নিন্দা জ্ঞাপনের ভাষা আমাদের জানা নেই। যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ন্যাক্কারজনক ভাষায় হুমকি দিয়েছে, সেটি কোনোভাবেই কোনো ভাষার মধ্যে পড়ে না। তাকে যেভাবে হত্যার হুমকি দিয়েছে সেটি একেবারে ক্ষমার অযোগ্য বিষয় । এটি নিম্ন পর্যায়ের কোনো ব্যক্তির বক্তব্য না। এটি এক ধরনের গভীর ষড়যন্ত্র, এই নীলনকশার শুরু করার একটি ইঙ্গিত।