সরকার জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ প্রণয়ন করেছে, যা বাস্তবায়িত হবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। চলমান শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। সম্মেলন, সভা, মানববন্ধন কম তো হলো না । শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করলেন ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সহজবোধ্য করার বিষয়ে আরো পর্যালোচনা করা হবে’। আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করি যে, একজন শিক্ষার্থী তখই মুল্যায়িত হয় যখন তার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল সবার জানার বা শোনার আয়ত্তের মধ্যে আসে। হোক সে ভালো কিংবা মন্দ। তবে অস্বীকার কোন অবকাশ নেই যে বর্তমান জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অত্যন্ত চমৎকার একটি শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দিতে পারবে যদি সেটা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।
যুগের সঙ্গে নিজেকে প্রস্তুত করতে, সুন্দর আগামী নির্মাণে পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। পরিবর্তন তো সময়ের প্রয়োজনের সঙ্গে আবর্তিত। তাই পরিবর্তন কে সাদরে গ্রহণ করে নিজেকে প্রস্তুত করা সবার কাম্য। বর্তমানে চলছে যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষায় এত বড় পরিবর্তন হয়তো আগে হয়নি। পরিবর্তন কে বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া না গেলেও ধাপে ধাপে সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তবে ৫ দিন বা ৭দিন প্রশিক্ষণ বর্তমান পরিবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অপ্রতুল। সবাই হয়তো জানবেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইনহাউজ প্রশিক্ষণ বলে একটা বিষয় আছে সেই বিষয়টি সক্রিয় করতে হবে। নয়তো প্রতিষ্ঠান কে কেন্দ্র করে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। উপজেলার সব শিক্ষককে এক জায়গায় প্রশিক্ষণ করার চিন্তা বাদ দিতে হবে। একটা বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষক প্যানেল তৈরি করতে হবে যারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে যেয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিবেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিবেন। তবে সমাধান হতে হবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। সব শিক্ষকের মধ্যে একটা শিখন-শিখানো আন্দোলনের ঝড় বয়ে দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই শিক্ষক সেই শিক্ষক যিনি সমাজ গড়ার কারিগর, সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারেন, সমাজকে অনেক কিছু দেয়ার আছে। শিক্ষক সমাজ জেগে না উঠলে শিক্ষার কোনো ক্ষেত্রের উন্নয়ন সম্ভব নয় ।
বর্তমান প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মুল্যায়ন নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে। আমরা ফলাফল বা মুল্যায়নকে সংখ্যা বৃত্ত থেকে প্রতিক বা সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চাচ্ছি। একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবর্ষে ৬ মাসে ও বছর শেষে, শিখনকালীন ও সামষ্টিক মুল্যায়নের মাধ্যমে তার শিখন যোগ্যতা অর্জন পর্যবেক্ষণ করা হবে। শিখনকালীন মূল্যায়নে প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা অর্জন শেষে অর্জিত মাত্রা নিরূপণ করে সংরক্ষণ করা হবে। অত্যন্ত চমৎকার পদক্ষেপ। কিন্তু সামষ্টিক মূল্যায়নে বলা হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত কাজ অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রকল্প। আমরা জানি প্রতিটি শিখনকালীন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য প্রত্যেককে আলাদা আলাদা, দলে দলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কাজ করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে অ্যাসাইনমেন্টর কাজ বাড়ি থেকে করে এনে শ্রেণিকক্ষে সেটা উপস্থাপন করা হবে।
এবার আসি প্রকল্প নিয়ে, প্রকল্প নিয়ে মূল্যায়ন নির্দেশিকায় স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। প্রকল্প হয় লক্ষ্য-ভিত্তিক, প্রক্রিয়া-ভিত্তিক এবং ফলাফল-ভিত্তিক। কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রণীত কর্মপন্থাকে প্রকল্প বলে। তাহলে এখানে স্পষ্ট বোঝা যায়, প্রকল্প হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর এক শ্রেণিবর্ষ। প্রশ্ন হচ্ছে, শিখনকালীন মূল্যায়নে যে অভিজ্ঞতার কথা বলা হচ্ছে, সামষ্টিক মূল্যায়নেও একই কথা বলা হচ্ছে। ২ টি মূল্যায়নেই শিখন উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, আবার সমগ্র মূল্যায়নে শিখনকালীন মূল্যায়ন-কোনো কোনো শ্রেণিতে ৬০ ও ৫০ শতাংশ ,সামষ্টিক মূল্যায়নে কোনো কোনো শ্রেণিতে ৫০ ও ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শিক্ষা পদ্ধতি যদি অভিজ্ঞতা নির্ভর হয় তাহলে বাড়ি থেকে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে এনে স্কুলে উপস্থাপন করে কী অভিজ্ঞতা অর্জন করবে? তারচেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নে কাজ বেশি দিয়ে ৫০ শতাংশ করলে ভালো হয়, বাকি ৫০ শতাংশ থাকবে সামষ্টিক মূল্যায়নে (শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলা ও কাজের মাধ্যমে সক্রিয় ভাবে শিখনে অংশগ্রহণ করবে এবং আনন্দের সঙ্গে জ্ঞান দক্ষতা মুল্যবোধ দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনার উন্নয়ন ঘটাবে। তবে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।)
মানব জীবনে শিখন হলো একটি জটিল ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। শিখনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে ও পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে। শিখন ছাড়া যেকোনো শিক্ষার অর্থ ভাবনাতীত। মনোবিজ্ঞানে একটি অন্যতম ধারণা হলো শিখন । শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল সমাজ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শেখে। আর এই মানিয়ে নেয়ার ফলে শিশুর মধ্যে নানা অভিজ্ঞতার জন্ম নেয়। এক কথায় এগুলোকে শিখন বলা হয়। শিখন ছাড়া সমাজে শিশুর বিকাশ সাধনের পথে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ব্যক্তি জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে শিখন অন্যতম ।
শিখন হলো নতুন কোনো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা অর্জন, দক্ষতা বা দৃষ্টিভঙ্গি যা প্রাণীকে অনুসঙ্গ হতে সাহায্য করে। অর্থাৎ নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য প্রাণীর আচরণের মধ্যে যে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটায় তাকে শিখন বলা হয়। অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নতুন কোনো কিছু জানা, বোঝা, শোনার নাম শিখন। আমরা বলতে পারি, অভিজ্ঞতা ও অনুশীলনের মাধ্যমে আচরণের যে অপেক্ষাকৃত স্থায়ী পরিবর্তন সাধিত হয় তাকে শিখন বলে।
বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী শিখনকে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, আচরণবাদীদের মতে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ফলে আমাদের মধ্যে যে আচরণগত পরিবর্তন ঘটে তাকে শিখন বলা হয়। এবং জ্ঞানমূলক তত্ত্বের সমর্থকদের মতে – শিখন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিতা নিজস্ব জ্ঞান, দক্ষতা, বোধ ইত্যাদি অর্জন করতে সক্ষম। নির্মিতিবাদীদের মতে শিখন হলো জ্ঞান নির্মাণের কেবল একটি কৌশল। অতএব শিখনের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়।
শিখন হলো উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সঠিক সম্পর্ক স্থাপন। শিখন হচ্ছে ব্যক্তির মধ্যে নতুন দক্ষতা অর্জন যা ব্যক্তির পরবর্তী ক্রিয়ার ওপর একটি স্থায়ী ছাপ রেখে যায়। শিখন হচ্ছে অভ্যাসের ফলে আচরণের স্থায়ী পরিবর্তন। শিখনকে আচরণের তুলনামূলক স্থায়ী পরিবর্তন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, যা অভিজ্ঞতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। শিখন হলো সেই প্রক্রিয়া, যার সহায়তায় আমরা আচরণের মধ্যে এমন পরিবর্তন আনতে পারি যা পরিবেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি সাধন করে। শিখনকে আচরণের যেকোনো তুলনামূলক স্থায়ী পরিবর্তন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে, যা অনুশীলন বা অভ্যাসের ফলে সংঘটিত হয়।
শিখনের বৈশিষ্ট্যঃআচরণের পরিবর্তন: নতুন আচরণ সম্পাদনই শিখন। অভিজ্ঞত: নতুন আচরণ সম্পাদনের মধ্যেই ব্যক্তি বিশেষ নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। আচরণের স্থায়ীত্ব: নতুন আচরণের স্থায়ীত্ব না থাকলে তাকে শিখন বলা যাবে না। আজকে শিখে আগামীকাল ভুলে গেলে তাকে শিখন বলা যাবে না। উৎকর্ষতা: শিখনের ফলে আচরণের শুধু পরিবর্তন নয় উন্নত আচরণ আশা করা যায়। অনুশীলন: পুরাতন আচরণের পরিবর্তে নতুন আচরণ আয়ত্ত করতে বার বার চেষ্টা ও অনুশীলন অবশ্যই প্রয়োজন। এছাড়া শিখন হয় না। নতুন অংক শিখতে বা টাইপ করতে বার বার অনুশীলন করতে হয়।পরিণমন: শিখনের একটি অপরিহার্য শর্ত। দৈহিক এবং মানসিকভাবে পরিপক্ক না হলে ব্যক্তি বিশেষকে বিষয়বস্তু বা দক্ষতা শেখানো যায় না। লেখা শিখতে গেলে আগে পড়তে শিখতে হবে, লিখতে হলে হাতে কলম ধরার যোগ্যতা ও অভ্যাস অর্জন করতে হবে। অনুকম্পা: শেখার জন্য চাহিদা বা আগ্রহ না থাকলে কাউকে শেখানো যায় না।
সমস্যা: সমস্যা থাকলেই মানুষ তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করে। এভাবেই সে নতুন আচরণ বা শিখন যোগ্যতা অর্জন করে। শিক্ষার্থী শিখনের প্রয়োজনীয়তা এবং স্থায়ী শিখনের পদ্ধতি ও কলাকৌশল আয়ত্ত করতে পারলে পরবর্তী জীবনে ও শিক্ষার্থীর উপযোগিতা দিয়ে এর যথার্থতা প্রমাণ করতে পারবে বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে।
শিশুরা শিখে থাকে তার মস্তিষ্কের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে। তাই দেখা যায়, শ্রেণিতে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় সব শিক্ষার্থী শতভাগ মনোযোগ দিয়েও সমানভাবে শিখতে পারে না। তাই মনে রাখতে হবে, শিখন হতে হবে মস্তিষ্ক বান্ধব । শিক্ষার্থীর স্বীয় ধারণক্ষমতা এবং চাহিদানুযায়ী তা হতে হবে। তাই পাঠদানের সময় একজন শিক্ষককে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বতন্ত্র, সবার শিখনের প্রকৃতি ও সক্ষমতা সমান নয়, তাই শিক্ষণে বহুমুখী ব্যবস্থা থাকা দরকার।
শিখনে বাধাঃ ১. অর্থ না বোঝা ২. শিখনে আগ্রহ না থাকা ৩. শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান ৪. বিষয়বস্তু না বোঝা ৫. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের ভুল তথ্য প্রদান ৬. শিক্ষকের ভুল নির্দেশনা ৭. অসম্পূর্ণ শিখন ৮. শিক্ষক কতৃক পাঠ আকর্ষণীয় করতে না পারা ৯. যথাযথ শিক্ষন-শিখন পদ্ধতি অনুসরন না করা ১০. উপকরণের ব্যবহার |
আমরা জানি, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো না কোনো বিশেষ গুণ বিদ্যমান আছে, যেটিতে সে পারদর্শী। একটু সহযোগিতা করলে সে তার দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীর ওই গুণগুলো খুঁজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে সারা বছর বিভিন্ন পারদর্শিতার মাত্রা যেমন-যোগাযোগ দক্ষতা, ভাষা দক্ষতাসহ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সক্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ দক্ষতা ইত্যাদি এবং আচরণিক মাত্রা যেমন-সততা, সাহস, সহনশীলতা, পরম সহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা, জেন্ডার সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিখন যোগ্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে হবে।
শিখনকালীন মূল্যায়ন পুরো শিক্ষাবছরব্যাপী শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলমান থাকবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রক্রিয়া মূল্যায়নের বিভিন্ন কৌশল ও টুলস্ হলো-মৌখিক প্রশ্নোত্তর, লিখিত প্রশ্নোত্তর, পর্যবেক্ষণ (একক ও জোড়ায় কাজ, দলগত কাজ, প্রকল্প ব্যবহারিক কাজ ইত্যাদি)। সাক্ষাৎকার, স্ব-মূল্যায়ন, সহপাঠী কর্তৃক মূল্যায়ন। তবে আমাদের সবার মনে রাখতে হবে ধারাবাহিক মূল্যায়নকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীকে তার শিখনে সহায়তা করা। শিখন-শেখানো কার্যাবলী চলাকালে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে এই শিখন নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে স্বাভাবিক ও আনন্দময় পরিবেশে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করবেন।
মূল্যায়ন নিয়ে আমি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, তবে সবার কথার শেষ কথা মুল্যায়ন পদ্ধতি অনেক ভালো কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষার্থীর জন্য যতটা সহজ বলা যাচ্ছে ততটা সহজ নয়। মুল্যায়ন নিয়ে আরো আলোচনা করতে হবে, আমাদের শিক্ষার্থী উপযোগী মূল্যায়ন পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। শিক্ষকদের মুল্যায়নের পদ্ধতি নিয়ে আরো দক্ষ করে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন শতভাগ শিক্ষকের হাতে। শিখনকালীন মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়নে বিভাজন নিয়ে সহজ এবং স্পষ্ট বার্তা শিক্ষককে বোঝাতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, চলমান ব্যবস্থা পরীক্ষামুলক। তাই আমাদের হাতে এখনো সময় আছে মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে আরো সহজ ও অংশগ্রহণমূলক করা। সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষায় ধরে রাখার জন্য মূল্যায়ন নিয়ে আমাদের আরো আলোচনা করা উচিৎ।
লেখক: শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত