ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সাহিত্যানুরাগী ব্যাংকাররা এবার আলোচনা করেছেন প্রখ্যাত উর্দু লেখক সাদাত হাসান মান্টো এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশি লেখক ফারুক মঈনউদ্দীনের রচিত সাহিত্যকর্ম নিয়ে।
ঢাকায় সাদাত হাসান মান্টোর মর্মস্পর্শী গল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। গত ৬ মে অনুষ্ঠিত এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন এই উর্দু সাহিত্যের অনুবাদক হাইকেল হাশমি, যিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে গল্পগুলো বাংলায় অনুবাদ করেছেন। আলোচনায় সমাজের ‘ট্যাবু’ বিষয়গুলোর প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে ভারত বিভাজন, সাবলীলভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার অনন্য ক্ষমতা নিয়ে লেখক মান্টোর তুমুল প্রশংসা করা হয়। তার লেখা গল্প ‘টোবাটেক সিং’ এবং ‘ঠাণ্ডা গোশত’ নিয়ে সাহিত্যানুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়, যেখানে আলোচকরা গল্পবলায় তার সরলতা এবং লেখনশৈলী নিয়েও নিজেদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। হাইকেল হাশমি মনে করেন, মান্টোর সাহিত্যকর্ম সময় এবং স্থানের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চে তাকে একজন বিশ্বসাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অন্যদিকে গত ৫ মে চট্টগ্রাম রিডিং ক্যাফের সদস্যরা আলোচনা করেছেন ফারুক মঈনউদ্দীনের লেখা জনপ্রিয় সাহিত্য-সংকলন ‘সেই সব শেয়ালেরা’ নিয়ে। মানুষের ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক জটিলতার উজ্জ্বল চিত্রায়নের জন্য সুপরিচিত ফারুক মঈনুদ্দীনের সাহিত্যিক বর্ণনা আলোচকদের ব্যাপকভাবে বিমোহিত করেছে।