গেল ১৬ মাস ধরে উত্তপ্ত ভারতের মণিপুর। কুকি আর মেইতেইদের ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন দুইশোর বেশি মানুষ। যাতে নজিরবিহীনভাবে দেখা মিলেছে অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ড্রোনের মতো অস্ত্রের কারণে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে এবার নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে রাজ্যটির নাগা জনগোষ্ঠী। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে গোষ্ঠীটির মতামত ছাড়াই সাতটি নতুন জেলা গঠন করেছিল সরকার, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে তীব্র আন্দোলনের হুশিয়াঁরি দিয়েছে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল।
মনিপুরে মোট জেলা আছে ১৬টি। যার ৬টিতে বেশ প্রভাব রয়েছে নাগাদের। অতীতে দাবি আদায়ে একশো দিনের বেশি সড়ক অবরোধের নজির রয়েছে তাদের। তাই কুকি-মেইতেদের মতো তারাও যদি সহিংস বিক্ষোভ শুরু করে তাহলে রাজ্যটিতে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সহিংসতা নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। ড্রোন হামলার ঘটনা তদন্তে কাজ করছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনআইএ।