
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চাঁদাবাজি ও থানায় হামলার ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলা ও ক্ষেতলাল থানায় হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
থানায় হামলা ও পুলিশকে আহত করার মামলায় এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন- মেহেদী আসিফ পার্থ, আহসান হাবীব চপল, আতিকুর রহমান, নয়ন মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন বাবু, জাকির হোসেন, আব্দুর নূর তুষার, জনি ইসলাম, আমজাদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, মো. আব্দুল, রাশেদুল, আতিকুল, শাকিলুর রহমান, বিপ্লব হোসেন, ফারুক হোসেন, লুৎফর রহমান, সানোয়ার হোসেন, নাদিম হোসেনসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বুধবার (১৯ মার্চ) থানায় মামলা রুজু হয়।
অপর দিকে একই দিনে চাঁদাবাজির মামলার আসামি হলেন- মেহেদী আশিক পার্থ, জুলফিকার আলী চৌধুরী, জুয়েল শাহ, রেজাউল ইসলাম মওলা, মাসুদ চৌধুরী, মো. বেলাল, কবির চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, আমার বাসা উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে। তবে আমি ঘটনাটি শুনেছি। যদি দলের কেউ অপরাধ করে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন এসে থানায় হামলা করে পুলিশকে বেধড়ক মারপিট করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, তোফাজ্জলের স্ত্রী জয়নব বেগম বাদী হয়ে ৭ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন।
থানায় হামলা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় ক্ষেতলাল থানার এসআই সঞ্চয় কুমার বর্মণ বাদী হয়ে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।