ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখে টানা ৫দিনের সরকারি ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকলেও এর সুফল মেলেনি কন্টেইনার ডেলিভারি কার্যক্রমে। গত ৯ এপ্রিল থেকে টানা ৮ দিনে বন্দরে জমেছে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৬৬ কন্টেইনার।
বন্দর চালু থাকলেও ঈদের দিনে কন্টেইনার ডেলিভারি নেমে আসে শূন্যের কোটায়। ছুটির অন্যদিনগুলোতে ডেলিভারি নেমে আসে এক হাজার কন্টেইনারে। যদিও স্বাভাবিক সময়ে দিনে চার হাজার থেকে চার হাজার পাঁচশ কন্টেইনার ডেলিভারি হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছর ঈদের আগে স্টেক হোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে বন্দর। ডেলিভারি নিতে সব ধরনের সেবাও চালু রাখে। কিন্তু আমদানিকারকরা ডেলিভারি না নেয়ায় বন্দর চালু রাখার সুফল পাওয়া যায় না।
তবে বন্দর ব্যববহারকারীরা বলছে, বন্দর চালু থাকলেও ব্যাংক, কাস্টমসের সেবা পুরোপুরি চালু থাকে না। বন্ধ থাকে কারখানার গুদামও। সড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলেও থাকে নিষেধাজ্ঞা। এসব কারণে বন্দর চালু থাকলেও ডেলিভারি নেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায় আমদানিকারকদের জন্য।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন (বিআইসিডিএ)- এর সেক্রেটারি জেনারেল রুহুল আমিন শিকদার বলেন, ঈদের আগে এবং ৪-৫ দিন পরে কন্টেইনার ডেলিভারি অনেকটাই কমে যায়। এ কারণে বন্দর এবং ডিপোগুলোতে জট তৈরি হয়। এটি প্রতি বছরের ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের এবং পরের ৩ দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এ কারণে আমদানি পণ্য ডেলিভারি নিতে সমস্যায় পড়েন আমদানিকারকরা। সড়ক পথে হয়রানি, বাড়তি ভাড়া আদায়সহ নানান সমস্যার কারণে আমদানিকারকরা ঈদের ছুটিতে পণ্য ডেলিভারি নিতে চান না। যদিও রপ্তানি পণ্য পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকে।’