বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে বেড়েছে চাষিদের উৎপাদন খরচ। ফলে দেশে প্রতিবছর কমছে চিংড়ি রপ্তানি। পাশাপাশি বিশ্বে ভেনামি চিংড়ির চাহিদা বাড়ায় এমন ধারাবাহিক অবনতি বলে দাবি রপ্তানিকারকদের। তবে এর জন্য দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ার অজুহাত মৎস্য অধিদপ্তরের।
দেশে যে কয়টি খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসে তার মধ্যে অন্যতম চিংড়ি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাল্লা দিয়ে কমছে মাছটির বিদেশ যাত্রা। আন্তর্জাতিক বাজারে দরদামে টিকতে না পারায় ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব জাত গলদা আর বাগদা। এতেই ধস নেমেছে দেশীয় বাজারে।
এক চিংড়ি চাষি বলেন, আমরা আগে যেভাবে চিংড়ি চাষ করতাম এখন সেভাবে করতে পারছি না। এর অন্যতম কারণ এখন পোনার দাম অনেক বেশি। আরেক চিংড়ি চাষি বলেন, যখন উৎপাদন বেশি ছিলো তখন দাম কম ছিলো। কিন্তু এখন গরমের কারণে উৎপাদন কম হচ্ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গেলো অর্থবছর ২০ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৩৫৭ মেট্রিক টন। যেভাবে রপ্তানি হচ্ছে তাতে গত বছরের তুলনায় খাতটি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কম আসবে বলে দাবি রপ্তানিকারকদের।
তবে মৎস্য অধিদপ্তরের দাবি, দেশেই বেড়েছে বাগদা গলদার চাহিদা। তাই বিদেশে যাচ্ছে না এসব দেশীয় মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলেই আমাদের অভ্যন্তরীণ চিংড়ি উৎপাদন বেড়েছে। যেহেতু দেশে চাহিদা বেশি এবং জনগণও চিংড়ি খেতে পছন্দ করছে, সেহেতু দেশের চাহিদা পূরণ করেই তো আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো। এজন্য রপ্তানি কিছুটা কমেছে।