![স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটতে না পারায় ক্ষতি ১৯০ কোটি টাকা স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটতে না পারায় ক্ষতি ১৯০ কোটি টাকা](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2022December/-জাহাজ-কাটতে-না-পারায়-ক্ষতি-১৯০-কোটি-টাকা-2305251355.jpg)
সীতাকুণ্ড উপকূলে গড়ে ওঠা জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডগুলো লাল শ্রেণির তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। নতুন পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী, এসব ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছ থেকে দুই দফায় ছাড়পত্র নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জটিলতায় ৪৫টি জাহাজ গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে কাটতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এগুলো আমদানি করায় দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার মতো। আর দুই মাসে সেই ক্ষতির পরিমাণ ১৯০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশের জাহাজ ভাঙা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) তথ্যমতে, গত বুধবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টনের ৪৫টি স্ক্র্যাপ জাহাজ। এতে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করতে হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ মার্চ ‘পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩’ প্রকাশিত হওয়ার পর মধ্য মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ইয়ার্ডে জাহাজগুলো সৈকতায়ন হয়েছে।
বিএসবিআরএর সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাসের বেশি সময় কোনো জাহাজই কাটার অনুমোদন দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। স্ক্র্যাপ জাহাজগুলো সাধারণত ব্যাংকঋণ নিয়ে কেনা হয়। এমনকি কাস্টমসের নিয়ম মেনে প্রবেশের পরই সৈকতায়ন করতে হয়। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রায় আটটি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন শেষ হলে এগুলো কাটা শুরু হয়। কিন্তু দুই মাস ধরে বিভিন্ন ইয়ার্ডে জাহাজ সৈকতায়ন হওয়ার পরও অনুমোদন জটিলতায় সেগুলো কাটাই শুরু করা যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসবিআরএ সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘সরকার গত ৫ মার্চ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে লাল তালিকায় সর্বশেষ ৭২ নম্বরে রাখা হয়েছে জাহাজ ভাঙা শিল্পকে। আর লাল তালিকায় নেয়ায় ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষমতা হারায় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়। এখন ছাড়পত্র নিতে হলে দুই-তিন দফায় ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়।