
সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) প্রচলন করে সফল হয়েছে এমন দেশের উদাহরণ না থাকায় এখনই দেশে ডিজিটাল কারেন্সি চালু করতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিবিডিসি অনেকটা ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই; পার্থক্য হলো, এর মান কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং এটি দেশের ফিয়াট কারেন্সির সমতুল্য।
সিবিডিসি'র প্রচলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক সমীক্ষা শেষে এই মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। গতবছর সিবিডিসি নিয়ে সার্কফাইন্যান্স (দ্য গ্রুপ অফ সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নরস অফ দ্য সার্ক মেম্বার স্টেটস)- এর কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়েছিলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে ডিজিটাল কারেন্সির ফিজিবিলিটি স্টাডি করার একটি কথা উঠেছিলো। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো স্টাডি করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
ডিজিটাল কারেন্সি এখনই চালু করা উচিত হবে না উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি দেশে চালু করা সিবিডিসি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক স্টাডি করেছি। আমরা দেখেছি, এই কারেন্সি চালু করা দেশগুলো খুব বেশি ভালো করতে পারছে না।’
সিবিডিসি চালু করা দেশগুলোর একটি বাহামার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘দেশটি এমনিতে ছোট, তার ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ। অনেক সময় দুর্যোগে জনগণের ফিজিক্যাল কারেন্সি হারিয়ে যায়। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে দেশটিতে সিবিডিসি চালু করা হয়েছিলো। তবে তাদের দেশে এখনো এই কারেন্সি ব্যবহারের হার খুবই কম।’
সিবিডিসি চালু করার আগে বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে মন্তব্য করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের মতো দেশে এখনও ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাই শক্তিশালী হয়নি। এখনও জনগণ ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের সুবিধাগুলো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছে না। এটি ব্যবহার করলে যে সম্পদের নিরাপত্তা ও চাহিদামতো ব্যবহার নিশ্চিত হয়, সেটি বুঝতে পারছে না। আমাদের আগে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে, পরে সিবিডিসি নিয়ে ভাবা যাবে।’