ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

স্কুলে পাঁচ শিক্ষার্থীর ক্লাস নেন ৬ শিক্ষক!

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ১৮ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

স্কুলে পাঁচ শিক্ষার্থীর ক্লাস নেন ৬ শিক্ষক!

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ১২১ ঘন্টেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৫ জন। অথচ তাদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে স্কুল গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ। এসব বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। এসব অভিযোগের তদন্তে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত আছেন। আর শিক্ষক আছেন ছয়জন। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান না করে অফিস কক্ষে বসে গল্প করছিলেন প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগম, সহকারী শিক্ষক মাহমুদা খানম, নাসরিন আক্তার, রাশিদা খানম, মো. আক্তার হোসেন ও স্নিগ্ধা আক্তার।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঘন্টেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সর্বশেষ ২০১১ খ্রিষ্টাব্দেও স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৭২ জন। গত ১২ বছর পরে এসে বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র পাঁচজনে।

স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক হেলেনা বেগমের হেয়ালিপনা, খিটখিটে মেজাজ আর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণের কারণে প্রতিবছরই কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। অথচ আশপাশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক।

স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব শিকারী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, স্কুলটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু এখন আর তা নেই। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এতোটাই কম যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলকর নয়।

প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হেলেনা বেগম দাবি করেন, আমাদের স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৬২ জন। প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত হয় ২৫ থেকে ৩০ জন। তবে রাস্তার বেহাল দশা ও করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটা কম।

উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাছলিমা বেগম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ওই স্কুল এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করতে দুজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়