
এবছর রমজানের প্রথমার্ধে বিকাশের মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে ও তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্স পাঠানোর এই সুবিধার ওপর ক্রমশই আস্থা বাড়ছে প্রবাসীদের। বিশেষ করে, পবিত্র রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে এই সেবা বেশি ব্যবহার করছেন গ্রাহকরা। তারই ধারাবাহিকতায়, এবারের রমজানের প্রথম ১৫ দিনে গত বছরের তুলনায় বিকাশে রেমিট্যান্স আসার হার বেড়েছে ৮৬ শতাংশ।
এভাবেই ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রবাসীরা বিকাশ-কে সঙ্গে নিয়ে স্বজনদের ঈদ আনন্দে পাশে থাকছেন এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকেও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখছেন।
দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা পালনকারী এই রেমিট্যান্স সংগ্রহে একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে বিকাশ। বর্তমানে, শতাধিক আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) এর মাধ্যমে ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স বাংলাদেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তি হয়ে মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে প্রবাসীর প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। তাই, কোনো আনন্দের মুহূর্তে হোক কিংবা নিয়মিত সময়ে, অথবা জরুরি প্রয়োজনে সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে প্রিয়জনের কাছে অর্থ পাঠাতে প্রবাসীরা নির্ভর করছেন বিকাশের রেমিট্যান্স সেবায়।
এখন আরো কম খরচে রেমিট্যান্স ক্যাশআউটের সুযোগ নিতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনরা। সারাদেশের ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ৫০০ এটিএম বুথ থেকে প্রতি হাজারে ৭ টাকা খরচে রেমিট্যান্সের অর্থ ক্যাশআউট করতে পারছেন তারা। ইউএসএসডি চ্যানেল *২৪৭# এবং বিকাশ অ্যাপ উভয় পদ্ধতিতে এটিএম ক্যাশ আউটে ৭ টাকার সাশ্রয়ী খরচ উপভোগ করছেন রেমিট্যান্স গ্রহীতারা।
এদিকে, প্রিয়জনের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রতি হাজারে ২৫ টাকা সরকারি প্রণোদনাসহ পুরো অর্থ মুহূর্তেই পেয়ে যাচ্ছেন দেশে থাকা স্বজনেরা। তা দিয়ে তারা ঈদের কেনাকাটা করছেন অনায়াসে। পাশাপাশি, বিকাশের মাধ্যমেই বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, যাকাত-ফিতরা, অনুদান প্রদান, সেভিংস খোলা, এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রদান সহ অসংখ্য সেবা নিচ্ছেন ঘরে বসেই।