ঢাকা রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

‘মদের বোতল’ হাতে ভিডিও ভাইরাল, বৈষম্যবিরোধী নেতা-নেত্রীর সদস্যপদ স্থগিত

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৭ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

‘মদের বোতল’ হাতে ভিডিও ভাইরাল, বৈষম্যবিরোধী নেতা-নেত্রীর সদস্যপদ স্থগিত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের ‘মদের বোতল’ নিয়ে আড্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের সদস্যপদ স্থগিত করেছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

একই সঙ্গে ভিডিও এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার পর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলামা খাতুনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাগ হাতে সংগঠনের জেলা শাখার মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সঙ্গে থাকা ব্যাগ রেখে পাশে খাটের ওপর বসেন। আগে থেকে খাটে শুয়ে ছিলেন সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। এরপর সাইদুর একটি পাতলা কম্বল নিজের শরীরের ওপর বিছিয়ে দেন আর এলমা খাতুন তার পাশে খাটে হেলান দিয়ে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। পরে একটি মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।

এ বিষয়ে কথা বলতে এলমা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে সাড়া না দেওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে সদস্যসচিব সাইদুর রহমান বলেন, গেল বছরের অক্টোবর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু রাতে ৮ থেকে ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় সহপাঠীর এক আত্মীয়ের বাসায় ছেলে ও মেয়েরা আলাদা কক্ষে ছিলাম।

সাইদুর রহমান বলেন, আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অন্য সহপাঠীরা আসে। এলমা আপুও আসেন। সে পাশে বসে পড়ায় আমি কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে নিই। তখন আপু পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলেন। তবে তার হাতে কিসের বোতল ছিল, সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতাবশত ইচ্ছাকৃত এ কাজ করেছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আবু হুরাইরা বলেন, আমার মনে হয় না সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের কোনো অনৈতিক সম্পর্ক আছে। ওই কক্ষে সাইদুর, এলমাসহ আরও ছয় থেকে সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে কেউ একজন ভিডিওটি করেছে। তবে সে কে, তা-ও নির্দিষ্ট করবে তদন্ত কমিটি। তখনই পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়