বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের জন্মদিন আজ। তিনি বীরশ্রেষ্ঠদের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিলো মাত্র ১৮ বছর। ২৫ মার্চের রাতে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ওখানকার আরও কয়েকটি ইউনিটের সমন্বয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন৷
২৮ অক্টোবর ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান বাহিনীর ৩০এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে।ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সিপাহী হামিদুরসহ ১২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রেনেড ছো্ঁড়ার দায়িত্ব দেয়া হয় হামিদুর রহমানকে।
তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে গ্রেনেড নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। দুটি গ্রেনেড সফলভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানে, কিন্তু তার পরপরই হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন।
সে অবস্থাতেই তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুজন পাকিস্তানী সৈন্যের সাথে যুদ্ধ শুরু করেন। হামিদুর হানাদারদের মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হন।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।