ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ , ১০ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

দুর্ধর্ষ সেই প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজ গ্রেফতার

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ২৭ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

দুর্ধর্ষ সেই প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজ গ্রেফতার

রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসী মামলায় সেই প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজ ওরফে মিনহাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার (২৬ মার্চ) শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর একটি টিম।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫মার্চ) ‘দুর্ধর্ষ এক প্রতারকের নাম আশরাফুজ্জামান মিনহাজ’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, নতুন নতুন কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ কামান তিনি। সুবিধা অনুযায়ী কখনো নিজেকে পরিচয় দেন কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক।

আবার কোথাও বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। বর্তমানে নিজেকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর দাবি করেন।

নিজেকে বিত্তবান পরিচয় দিয়ে সুইস ব্যাংকে ৫৫ মিলিয়ন ডলার গচ্ছিত আছে বলেও দাবি তার। বিসিএস ক্যাডার ‘কথিত’ স্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলার আসামি করে আবার ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার মূল পেশা। প্রতারক মিনহাজ ও তার স্ত্রীর এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিয়েছেন একজন ভুক্তভোগী।

জানা গেছে, আশরাফুজ্জামান নামের এই প্রতারকের উত্থান ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগেই তার পরিবারের এক সদস্যকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মিনহাজ। এরপর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তার পরিবারের জামাই পরিচয় দিয়ে সচিব, পুলিশ, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন তিনি।

নিজে পুলিশ, আমলা ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মামলায় ফেলে আবার মামলা থেকে বাঁচানোর নামে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে টাকা আদায় তার প্রধান পেশা হয়ে ওঠে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের বিপদে ফেলেও টাকা নেন তিনি। অপরাধ করতে যখন যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের পরিবারের জামাই পরিচয় ব্যবহার করার ঘটনা জানতে পেরে তাকে তখন গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

সম্প্রতি নতুন পন্থা অবলম্বন করে অর্থ কামানোর ধান্দায় নেমেছেন তিনি। পতিত স্বৈরাচারের ১৬ বছরে বিএনপি-জামায়াতপন্থি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও ভালো পদায়ন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন—এমন আশঙ্কায় ওই কর্মকর্তারা তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস.এন. মো. নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার সখ্য আছে—এমনটি দাবি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন মিনহাজ। এই প্রতারকের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করব আমরা। মিনহাজ বর্তমানে দেশে আছেন কি না, তাও জানতে চেয়েছেন নজরুল ইসলাম।

দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটির পর সতর্কবার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তারা জানিয়েছিল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে এমনটি দাবি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন মিনহাজ। তার এ দাবি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিল বিএনপি।

জনপ্রিয়