চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকার দুই গবেষক। যৌথভাবে নোবেলজয়ী এই দুই গবেষক হলেন- হাঙ্গেরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কাটালিন কারিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েইজম্যান।
আজ সোমবার নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই দুই গবেষক করোনা টিকার বিকাশের অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। তারা আধুনিক সময়ে মানব-স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে ভ্যাকসিন বিকাশে অবদান রেখেছেন।
ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া মহামারি চলাকালীন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এই দুই নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর আবিষ্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এমআরএনএ কীভাবে মানুষের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে সে সম্পর্কে জানা-বোঝায় মৌলিক পরিবর্তন এসেছে তাদের যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল।
ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
আগামীকাল মঙ্গলবার পদার্থে আর বুধবার রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ৫ অক্টোবর সাহিত্যে আর ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম জানা যাবে। দুই দিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতির নোবেল।
চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে দেওয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতি। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেলের অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে অবদানের কথা স্মরণ করে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।