
সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় থেকে মাত্র ৩ উইকেট দূরে বাংলাদেশ। আগামীকাল জয় তুলে নিলে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের পর নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট ক্রিকেটে হারের স্বাদ নেবে টাইগাররা। ৫ জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ বাংলাদেশের জন্য বিশেষ দিন। কেননা মুমিনুল হকের নেতৃত্বে একদল তরুণ সেদিন টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয়। তাও আবার তাদের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে প্রথমবার হারানোর স্বাদ। ঐতিহাসিক সেই জয়ের এক বছরের মাথায় এবার নিজেদের মাটিতে সিলেটে ফিরছে মাউন্ট মঙ্গানুই জয়ের সুখস্মৃতি।
চতুর্থদিন শেষে ম্যাচের যে পরিস্থিতি এতে বলা যায়, সিলেট টেস্টে জয় এখন ক্ষণিকের সময় মাত্র। ম্যাচ বাঁচাতে হলে নিউজিল্যান্ডকে অসাধ্যই সাধন করতে হবে। যদিও তা করতে বেশ বেগ পেতে হবে কিউইদের। কেননা চতুর্থ দিনেই স্পিনারদের বল বেশ বাঁক খাচ্ছিল। শেষ দিনে যে তা আরও কঠিন হবে তা বলাই চলে।
চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো। এর আগে সর্বোচ্চ ৩২৪ রান করে তাদের ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে। যেটি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়েছিল। ২৯ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এসেছিল তাদের সামনে। কিন্তু তাইজুল-মিরাজদের স্পিনের সামনে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে করে একদিন আগেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া রেকর্ডসম রান তাড়া করতে গিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের শেষ বলে টম লাথামকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করেন শরীফুল ইসলাম। ওয়ান ডাউনে নামেন কেন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া এ ব্যাটারকে এদিন বেশ নার্ভাস হতে দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দশম ওভারের শেষ বলে কিউই এই ব্যাটারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। একদম শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি ব্ল্যাকক্যাপসদের।
লাথাম, উইলিয়ামসনের ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও ধাক্কা খায় সফরকারীরা। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী মিরাজের করা ডেলিভারিকে সুইপ করতে যান হেনরি নিকোলস। টপ এজ হওয়া বল শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ ধরেন নাঈম হাসান। এতে করে চা বিরতির আগেই ৩ উইকেটে ৩৭ রানে আটকায় ব্ল্যাকক্যাপসরা।