
দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পরে থাকা রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মধ্যে বৈদ্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু শিক্ষার্থীদের বছরের প্রায় ছয়মাস পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ের যেতে হয়। উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাজীপুরা বাজার সংলগ্ন গাজীপুরা বাজার জামে মসজিদ হয়ে চান্দুমোল্লার বাড়ি, বৈদ্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চাঁদনির বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে পালিশাখালী ও বৈদ্যপাশা এলাকাবাসী রাস্তা ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে কাদার কারণে চলাচল দায় হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না। বাজারে নেয়া যায় না কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য। রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নিতে বেগ পেতে হয়।
এ ব্যাপারে মধ্যে বৈদ্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিদ্যালয় থেকে দুদিকে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। বর্ষা মৌসুম এলেই রাস্তাটি কাদামাটি আর পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। বছরের প্রায় ছয়মাস কাঁদা মাড়িয়ে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়। রাস্তাটি পাকা হলে এ এলাকার সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে।
এ বিষয়ে কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, সড়কটি পাকাকরণের জন্য উপজেলা পরিষদের সভায় আলোচনা করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রিয়াজুল হক বলেন, বিদ্যালয়টি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায়। বৃষ্টির সময়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া একেবারে কষ্টসাধ্য। তবে রাস্তাটি পাকা করার বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর বাদশা বলেন, কাঁচা রাস্তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রকল্প ভুক্তকরণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।