
নেত্রকোণা খালিয়াজুরী উপজেলার গছিখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রায় দিনই বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকে। আর যেদিন বিদ্যালয়টি খোলা থাকে সেদিন বেলা ১১টার ভেতরে ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা চলে যান। স্থানীয়রাসহ স্কুল কমিটির সহ-সভাপতি ও স্কুলের জমিদাতার সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়। সরেজমিনে বুধবার বেলা ১১টায় স্কুল বন্ধ করে সকল শিক্ষক চলে যাওয়ার সত্যতা মিলেছে।
স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি হামিদ আলী বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কেয়া রানী সরকারসহ চারজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রায় দিনই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে ক্লাস নেন না। তারা মনমতো স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। মন চাইলে ক্লাস নেন, আর মন না চাইলে ১১টার ভেতর স্কুল বন্ধ করে চলে যান। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পায়নি।
স্কুলের জমিদাতা হামিদ আলী বলেন, নিজের জায়গা দিলাম গ্রামের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখানোর জন্য। দুঃখের বিষয় স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোনো দিনও দেখলাম না ঠিকমতো স্কুলটি পরিচালনা করতে। স্কুলটি কে, কখন খোলে এবং আবার কখন বন্ধ করে চলে যায় তা ঠিকমতো দেখতে পাওয়া যায় না। এতে শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা যদি এই স্কুলে পড়তে না পারে তাহলে জায়গা দিয়ে কি লাভ হলো?
এ বিষয়ে খালিয়াজুরীর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহম্মেদকে (ভারপ্রাপ্ত) অবগত করা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ তাই বাড়িতে রয়েছি। পরে তিনি (প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) মুঠোফোনে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবেদককে বলেন, প্রধান শিক্ষককের মেয়ে অসুস্থ, ছুটিতে আছেন। তবে প্রধান শিক্ষক ছুটির জন্য লিখিত আবেদন বা মৌখিকভাবে আমাকে অবগত করেননি। আমি (শিক্ষা কর্মকর্তা) ফোন দেয়ার পর প্রধান শিক্ষক বলছেন ছুটিতে।
একটি স্কুল এমনভাবে চলতে পারে কিনা প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।