ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ , ১০ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সাত কলেজ যাতে নিজস্বতা না হারায়

শিক্ষা

মিথিলা মুক্তা, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০০:১০, ২০ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১১:৪২, ২০ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

সাত কলেজ যাতে নিজস্বতা না হারায়

প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে অধীভুক্ত হওয়ার পর রাজধানীর আলোচিত সাত কলেজ যাতে নিজস্ব পরিচয় হারিয়ে না ফেলে সে বিষয়টি নজরে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ। সম্প্রতি দৈনিক আমাদের বার্তাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এমনই প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেন।  

সাত কলেজ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান অনেক দিনের ঐতিহ্য। তাদের অনেক দিনের একটা পরিচয় আছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসেছেন। তাদের হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। কলেজগুলোর কোয়ালিটিও যেনো হারিয়ে না যায়। যার যার কোয়ালিটি যেনো আমরা ধারণ করতে পারি।

এই সাক্ষাৎকারে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কোথা থেকে শুরু হবে, মৌলিক কী পরিবর্তন আসতে পারে, শিক্ষার মান, পরিবেশ ও অবকাঠামো কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয়েও কথা বলেন অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ। 

তিনি বলেন, এই সাত কলেজ ছিলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলো। তারা কিন্তু তাদের ইচ্ছায় আসেনি। আমরা নিয়ে এসেছি। তখন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেননি। কারণ তাদের মাথায় ছিলো হয়তো তারা হয়তো ভালো কিছু পাবেন। কিন্তু বাস্তবে তারা একটি সমস্যা থেকে আরো বেশি সমস্যায় চলে গেলেন। যখন তারা এটা বুঝতে পারলেন তখন কিন্তু আন্দোলনে নামলেন। এটার যৌক্তিক কারণ ছিলো বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, সাত কলেজের বিষয়টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গুরুত্ব সহকারে দেখছে। মেইন হচ্ছে এই সাতটা কলেজ কে নিয়ে একটা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টার যে নামটা সেটাও আমরা ঠিক করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন যেটা হবে আমরা একজন এডমিনিস্ট্রেটর  নিয়োগ দিচ্ছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে একজন মেম্বার নিয়মিত এটা মনিটর করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না অর্ডিন্যান্স এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাংশন শুরু করে। 

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সাত কলেজকে আমরা ঢাকা ইউনিভার্সিটির একদমই বাইরে করতে পারবো না। ঢাকা ইউনিভার্সিটিও এটা চায়না। তারা সম্পূর্ণ সহায়তা দিয়েছে। যারা সেকেন্ড ইয়ার থেকে ফাইনাল ইয়ার পর্যন্ত আছেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। ওদের সার্টিফিকেট বিষয়ে প্রশ্ন ছিলো, কথা ছিলো, সেটা কিভাবে সমাধান করা যায় আমরা দেখছি। আর ফার্স্ট ইয়ারে যারা ভর্তি হবেন তারাও রেজিস্ট্রেশনটা পাবেন, একটা স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাবেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে। 

অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে যখন বিশ্ববিদ্যালয় একটা সম্পূর্ণ রূপ ধারণ করবে। ইন দ্যাট কেস তখন এরা আবার এই পরিচিতি নিয়ে চলবে। তো এখন পর্যন্ত সাত কলেজের জন্য যে নামটা আমরা ঠিক করেছি, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি। এটা মিনিস্ট্রি অলরেডি অনুমোদন করেছে। এমনকি আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকেও যিনি ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন, উনি তার বক্তব্যে বলেছেন। সো উই বিলিভ দিস উইল বি একসেপটেড বাই দা গভ:মেন্ট। হয়তো একটা অফিসিয়াল ইন্টারেকশন খুব তাড়াতাড়ি আসবে। আর এটা এখন তো এভাবে চালু হচ্ছে, আলটিমেটলি কিভাবে শেপ নেবে? মডেলটা কি হবে? প্রক্রিয়াটা কিভাবে কন্টিনিউ করবে? এটাতো একদিনের বিষয় নয়। এই প্রক্রিয়া কন্টিনিউ করবে, যিনি এডমিনিস্ট্রেটর উনি কো-অর্ডিনেট করবেন অন্য ছয়টা কলেজের সাথে। একটা কলেজ থেকে যিনি এডমিনিস্ট্রেটর হচ্ছেন বাকিরাও তাদের স্ব স্ব জায়গা থেকে তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আর কন্টিনিউয়াসলি মনিটর করবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একজন সম্মানিত মেম্বার। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে তারা বিস্তারিত আলোচনা করবেন। একটা জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা শিক্ষকদেরকে সাথে নিয়ে, শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। ছাত্র, শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি গ্র‍্যান্টস কমিশন, মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন সবকিছু মিলিয়ে এটা একটা টিম। একটা টিমের মাধ্যমে আমরা কাজ করব। সুতরাং এখানে কোনো কমিউনিকেশন গ্যাপ বা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর সুযোগ আমরা রাখছি না। এদিকে আমরা অত্যন্ত সচেষ্ট। ইভেন আফটার দ্যাট, এরপরে কোনো জায়গায় যদি কোনো কনফিউশন হয়, দ্যাট ইজ বিয়ন্ড আওয়ার থটস। আদারওয়াইজ আমি বিশ্বাস করি- এটা সুন্দরভাবেই হবে, আমরা কোয়ালিটির দিক অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখব। এবং ইনফাস্ট্রাকচারে যদি তাকাই এই সাতটা কলেজের, খুবই পুউর। দুটো কলেজ তো ইউনিভার্সিটি হিসেবে চলার মতো, কলেজ হিসেবে চলার মত অবস্থায় নাই। ক্লাসরুমগুলোতে বসার জায়গা নাই। ল্যাবরেটরিতে জায়গা নেই কাজ করার। লাইব্রেরিগুলোতে জায়গা নেই, বা লাইব্রেরিই নেই- এমন অবস্থায় চলছে। এগুলোকে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেপে নিয়ে আসা হয়েছে। জায়গান্টিক করা হয়েছে। এবার মেইন অ্যাটেনশন দিতে হবে। বিশেষ বরাদ্দ থাকতে হবে। সরকারের কাছে আমরা আপিল করব, ওই যে যারা কো-অর্ডিনেট করছেন, তারা যখন কাজ করা শুরু করবেন, তখন বিস্তারিত আমরা সবার সাথে যোগাযোগ রাখবো। এবং তাদের এরমধ্যে দিয়ে যেটা করণীয় সেটা করবো।

শিক্ষার মান সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। মানের দিকে তাকালে এখন যে অবস্থা চলছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেন না। কারণ ক্লাসে বসার জায়গা নেই। ক্লাসের টিচার নেই। কোয়ালিটি টিচার তো নেই। আমরা দেখেছি অনেক ক্লাসে মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, বাকিরা আসছেন না। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে ক্লাসমুখী করতে হবে। পড়াশোনামুখী করতে হবে। লাইব্রেরিমুখী করতে হবে। 
 

[inside-ad] শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

জনপ্রিয়