
অভিভাবকদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে- সন্তান যেখানে ভর্তি হতে চাইবে, সেখানেই অ্যাডমিশন করাতে হবে- এমনটা যেন না হয়। এমনটাই মনে করেন, খ্যাতনামা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। সম্প্রতি দৈনিক আমাদের বার্তাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বিষয়টি আরো খোলাসা করতে দিয়ে তিনি বলেন, ওরা অনেক সময় করে কী, ওদের ফ্রেন্ডসরা যেখানে আছেন (ভর্তি হয়), সেখানে চলে যান। আর একটা হয়েছে যে- সিএসই, এমবিএ, বিবিএ, এসব সাবজেক্টের অনেক ডিমান্ড হয়। সিএসই পার্টিকুলারলি অনেক বেড়ে গেছে। আবার সবচেয়ে বেশি আনএমপ্লয়মেন্টও কিন্তু ওই জায়গাগুলোতেই। তাই সন্তানদের পরিধিটা একটু চেঞ্জ করার চেষ্টা করবেন। ওরা কী চান, ওদের মেধার পার্সপেক্টিভে সেটা দেখেন। এরপর তাদের বলে দেন যে তারা কোথায় যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে, আমি মনে করি পলিটিক্স ইম্পর্টেন্ট। কিন্তু এই পলিটিক্স কোনো পার্টি পলিটিক্স নয়। পার্টি পলিটিক্স থেকে বেরিয়ে তুমি দেশের পলিটিক্স করো, জিও পলিটিক্স চিন্তা করো, এসব চিন্তা করে সামনে এগুতে হবে। পার্টি পলিটিক্স করলে বেশি দূর যেতে পারবা না। আর শিক্ষার্থীদের মূলত এই জিনিসটা মনে রাখতে হবে যে, ভবিষ্যতে একটা জিনিস আসছে ‘নলেজ ইকোনোমি’। ‘নলেজ ইকোনোমি’র সাথে ‘টেকনোলজি ইকোনোমি’। এখন নলেজ এবং টেকনোলজিকে একত্রিত করতে হবে। আমরা ইদানিং একটা জিনিস বলি ‘স্টেম’। অর্থাৎ সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথমেটিকস। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য আমি মনে করি ‘স্টেম’ নট ইম্পর্টেন্ট। আমি ওটাকে বলি ‘স্টেজ’ । সাইন্স, টেকনোলজি, অ্যালগরিদম, গভর্নেন্স, এনভারনমেন্ট। আমি মনে করি, আমাদের চিন্তাটা একটু আলাদাভাবে করতে হবে। এখানে গভর্নেন্স কেন ইম্পর্টেন্ট? কারণ আমাদের এখানে গভর্নেন্সটা উইক। এনভারনমেন্ট কেন? আমাদের এখানে এনভারনমেন্ট নিয়ে কাজ করার অনেক ওয়ে আছে, ওদের (পশ্চিমে) ওখানে নাই। তাই আমি মনে করি, সবকিছু ওদের কপি করে কাজ করতে হবে তা না, বরং একটু নিজস্বতা রেখে কাজ করলে ভালো হয়। এবং আল্লাহর ওয়াস্তে দেশপ্রেমটা রাখেন। দেশপ্রেমটা যেন প্রত্যেকের থাকে।
আমি আমার দেশে আছি। আমরা বুঝি না যে, আমাদের এত আত্মীয়-স্বজন যখন বাইরে চলে যায়, বাইরে যাওয়ার পরে দেশের সম্পর্কে এত কথাবার্তা বলে কেন? কারণ, আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। ওখানে সে কোনো আইডেন্টিটি পায় না, থার্ড ক্লাস সিটিজেন হয়। তারা একমাত্র ফার্স্ট ক্লাস সিটিজেন এই দেশে। এই দেশ তাকে ওই স্বীকৃতিটা দিয়েছে। দেশে এলে সে গ্রামে যখন যায়, গ্রামের মানুষ তাকে মাথায় করে রাখে। এই দেশের দেশপ্রেম হলো ওই জিনিসটা....। (চলবে)
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।