
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর দাবিতে প্রতীকী সনদ পুড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর নাম শরীফুল হাসান শুভ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এএফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। সেই সঙ্গে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
এসময় শরীফুল হাসান বলেন, পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে চাকরির বয়সসীমা ৩০। অন্যদিকে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে রাজ্য ভেদে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫। তাছাড়া দেশে নির্দিষ্ট সময়ের অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার হার শতকরা ৫ থেকে ১০ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু বাকি শিক্ষার্থীর ২৭-২৮ বছর লেগে যায়। যে সার্টিফিকেট অর্জন করতে আমার ২৬/২৭ বছর লেগেছে, সেটার মেয়াদ কেন ৩-৪ বছর থাকবে? যেখানে বিশ্বের প্রায় সব দেশে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর, সেখানে আমাদের কেন ৩০ বছর থাকবে। আমাদের এতো বছরের অর্জিত সার্টিফিকেটের মূল্য নেই কেন? তারই প্রতিবাদে আমি আজ প্রতীকী সার্টিফিকেট পুড়িয়েছি।
সার্টিফিকেট পুড়িয়ে চাকরি চাওয়ার বিষয়টি ভুল প্রসঙ্গে শরীফুল হাসান শুভ বলেন, সার্টিফিকেট পুড়িয়ে আমরা চাকরি চাই না। আমরা চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-এর দাবি জানাচ্ছি এবং নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেতে চাই। আমরা সরকারের কাছে গেজেট আকারে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চাকরিপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতীকী সার্টিফিকেট পোড়াবেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে ১০ জুন কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করবে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ।