ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সদকাতুল ফিতরের বিধি-বিধান

মতামত

জাওয়াদ তাহের, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ২৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

সদকাতুল ফিতরের বিধি-বিধান

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদের দিন সকালে সিয়াম পালনকারীরা যেভাবে নিজে খায় তেমনি দরিদ্রদের খাওয়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ইসলাম যে অর্থ দিয়ে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই দানকে শরিয়তের পরিভাষায় সদকাতুল ফিতর বলে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বেহুদা ও অশ্লীল কথাবার্তা ও আচরণ থেকে রোজাদারকে পবিত্র করা এবং মিসকিনদের খাদ্যের ব্যবস্থার জন্য সদকাতুল ফিতরকে ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা (ঈদুল ফিতরের) নামাজের আগে পরিশোধ করে তা মাকবুল সদকা। এবং যে ঈদের নামাজের পরে আদায় করবে সেটি অন্যান্য সদকার অন্তর্ভুক্ত একটি সদকা। (আবু দাউদ: ১৬০৯) বস্তুত এক মাস রোজা রাখতে গিয়ে আমাদের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় যেসব ছোট ভুলত্রুটি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবেই সদকাতুল ফিতর।

সদকাতুল ফিতর কার ওপর ওয়াজিব

প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী, যার হাতে ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু ব্যতীত অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তার ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর নিজের পক্ষ থেকে এবং তার অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে আদায় করা ওয়াজিব। নিজের স্ত্রী ও প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে স্বামী ও বাবার জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব নয়, তারা নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে নিজেরাই সদকাতুল ফিতর আদায় করবে। তবে স্বামী ও বাবা যদি তাদের পক্ষ থেকে আদায় করে দেয়, তাহলে সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যাবে।

সদকাতুল ফিতর কাকে দেবে

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত যেকোনো গরিব মুসলমানকে সদকাতুল ফিতর দেবে। যদি আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কেউ জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হয়, তাহলে অন্যদের তুলনায় তাদের দেওয়াই উত্তম। তাই ভাই-বোন, চাচা-ভাতিজা, মামা, খালা, ফুফু এদেরকে দেওয়া যাবে।

তবে নিজ পিতামাতার দাদা-দাদি, নানা-নানি প্রমুখ ব্যক্তি, তেমনি নিজের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি এবং তাদের অধস্তনকে সদকাতুল ফিতর দেওয়া যাবে না।

সদকাতুল ফিতর কখন আদায় করবেন

ঈদের আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করে দেওয়া উত্তম। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) লোকদের ঈদের নামাজের উদ্দেশে বের হওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দেন। (সহিহ বুখারি: ১৪২১)

তাই সদকাতুল ফিতর রমজানের শেষ দিকে আদায় করা উচিত। কারণ এতে গরিব মানুষের ঈদের প্রয়োজন পূরণে সহায়ক হবে। (আল-বাহরুর রায়েক: ২/২৫৫)

কেউ যদি কোনো কারণে ঈদের আগে আদায় করতে না পারে, তাহলে ঈদের পরে হলেও যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করে দিতে হবে। আর ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।

 

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

জনপ্রিয়