বিএনপির রাজনীতি নেতিবাচক। এই রাজনীতি দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। দিন যতোই যাচ্ছে বিএনপি ততোই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে, সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন, মানবতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি এই অন্ধকার থেকে আর বের হতে পারছে না। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি কীভাবে বিদেশী শক্তির তাবেদারী করেছে। কীভাবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছে। সুসময় আসতে সময় লাগে। সারা বিশ্বে সংকটের যে প্রতিক্রিয়া, আমাদের এখানেও তার ধাক্কা লেগেছে। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে ভালো।
বিএনপি’র ৮০ ভাগ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলবো এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা হাজির করুন। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী এরা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।
দিল্লির শাসন মেনে নেয়ার জন্য পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করিনি- বিএনপির এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনো সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশী শাসন, কোনো বিদেশীর দাসত্ব করে না। আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনেপ্রাণে ধারণ করি।
তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টি আয়োজন করছে। বিএনপি এই ইফতার পার্টি আয়োজন করে আওয়ামী লীগের চরিত্র হনন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে ইফতারে ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।