প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। যাতে কোনোভাবে মানুষ প্রতারিত না হন। মানুষ চাকরির লোভে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হন। আমরা ডিভাইসের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বসিয়েছে। আসল পরীক্ষার্থীর বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর নিয়োগ পরীক্ষা দেখতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। পাবলিক পরীক্ষায় পরিক্ষার্থীদের মনোসংযোগ যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন পরিত্যাগ করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সে পথে হাঁটেননি। এ বিষয়ে তিনি পূর্বসুরী মন্ত্রীদের রেওয়াজ বজায় রেখে সমবিভ্যাহারে কেন্দ্র পরিদর্শন ও ফটোসেশন অব্যাহত রেখেছেন।
এছাড়া কিছু দিন ধরে তৃতীয় ধাপে জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে বার বার বলে আসছেন তিনি। গতকালও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো আবেদনকারী যেনো প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিয়েছেন।
কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তৃতীয় ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন ও পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।