সড়ক ও জনপথ বিভাগ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং স্থলবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এ উদ্যোগটি ট্রেড লজিস্টিক ব্যবস্থাপনাকে সহজ করবে এবং এ অঞ্চলের তুলানমূলক উচ্চ পরিবহন খরচ কমিয়ে আনবে বলে বিভাগের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি প্ল্যানটির লক্ষ্য হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সহজতর করা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সংযোগ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশীদের কাছে একটি উপ-আঞ্চলিক পরিবহন ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে গড়ে তোলা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এ মহাপরিকল্পনার মূল প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশাকৃত ও প্রস্তাবিত ১১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক ৭৬ কোটি টাকা দেবে।
কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং স্থলবন্দর, রেলওয়ে, নৌ টার্মিনাল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আন্তঃসীমান্ত অঞ্চলসহ মূল অবকাঠামোগুলোকে সংযুক্ত করে এমন সড়কসমূহের উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করা হবে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্রেইট ট্রেনকে গুরুত্ব দিয়ে করিডোরভিত্তিক রেল উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ। এর লক্ষ্য সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেল সংযোগ এবং অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোসহ বিদ্যমান রেল করিডোরগুলোর আন্তঃসংযোগ করা।
তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এ প্রস্তাব হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ১৯ মার্চ বিভাগের প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করে পরিকল্পনা কমিশন।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কীভাবে এ প্রকল্পে আরো ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।
এদিকে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বিঘ্নে রেল, সড়ক, নদী এবং বিমান পরিবহনকে একীভূত করে এমন একটি প্রকৃত মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার খোঁজে তারা এডিবি'র সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। সংস্থাটি এ ব্যবস্থার অধ্যয়ন এবং ডিজাইনের জন্য চারজন পরামর্শক নিয়োগ দিতে রাজি হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য অর্থায়ন করতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে এডিবি।