যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের শ্রেণী-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে জাতীয় কবির সমাধিস্থল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন ঢাবি উপাচার্য।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বলেন, নজরুল আমাদের সাহিত্যে যে অনবদ্য অবদান রেখেছেন সে জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণার’ শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। নজরুল প্রথম কাব্যগ্রন্থ তাকে সারা পৃথিবীতে মানবতা ও সাম্যের কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি কাব্যগ্রন্থটি তৎকালীন এই বাংলার বিপ্লবী কবি বারেন্দ্র কুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনের উৎকৃষ্ট সময়ে ১২ টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থের জন্ম৷
এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন। এসময় তিনি বলেন, কবি নজরুল প্রেম, বিদ্রোহ ও বেদনার কবি। সাহিত্যের সব শাখাতেই তার বিচরণ। তিনি অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি। এই চেতনায় আমরা উজ্জীবিত হতে চাই। আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেটাই নজরুল চেতনার প্রতীক।
অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, নজরুল জীবদ্দশায় দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যেখানে অন্যায় হয়েছে সেখানেই বিদ্রোহ করেছেন, তার লেখনীর পরতে পরতে তা ফুটে উঠেছে। বাংলা সাহিত্যে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবির সমূধি প্রাঙ্গণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘অগ্নি-বীণার শতবর্ষ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনা সভার আয়োজন করে।