নেত্রকোনা সদর উপজেলায় শিক্ষকের মারধরে আহত হয়ে মোছা. চাঁদনী আক্তার (১০) নামে এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়াইলপাড়া আব্বাস উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত বুধবার দুপুরে চাঁদনী আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ভূট্টো মাষ্টার গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চাঁদনী আক্তার লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়াইলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. জামাল মিয়ার মেয়ে ও ওয়াইলপাড়া আব্বাস উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী।
চাঁদনীর বাবা মো. জামাল মিয়া বলেন, ‘বুধবার সকালে চাঁদনী স্কুলে যায়। দুপুরে হঠাৎ খবর আসে ভূট্টো মাষ্টার তার গলা চেপে ধরে মেরেছেন। স্কুলে গিয়ে দেখি চাঁদনী অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে, তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। শরীরের গলাসহ বিভিন্ন স্থানে বেতের আঘাতের দাগ। কে পিটিয়েছে জানতে চাইলে চাঁদনী জানায়, দুপুরের দিকে শ্রেণিকক্ষে স্কুল শিক্ষক ভূট্টো মাষ্টার এসে পড়া ধরেন। তখন পড়া দিতে বিলম্ব হওয়ায় গলায় চাপ দিয়ে ধরেন। একই ক্লাসের অন্য এক শিক্ষার্থী জানাযন, এই স্যার পড়া পাড়লেও মারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সহকারী শিক্ষক ভূট্টো মাষ্টার একজন বদমেজাজি লোক, প্রায়শই শুনি তিনি ছাত্রদের এভাবে মারেন। ঘটনার পর চাদনীকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, বিষয়টি সন্ধ্যার পর আমার কানে এসেছে। আগামীকাল স্কুলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। আমি শুনেছি, বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।