ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

টাকা আত্মসাত করেও স্বপদে বহাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী 

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, পবিপ্রবি

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৯ মে ২০২৩

সর্বশেষ

টাকা আত্মসাত করেও স্বপদে বহাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী 

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতকারী ইউনুস শরীফ নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জেল খাটা এক আসামি। 
তথ্যমতে, ২০১৯ এর ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৯০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ছয়টি প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুন থেকে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুনের মধ্যে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। জেলহাজতে থাকায় পবিপ্রবি কর্মচারীর সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধির ৯(৪) ধারা অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পবিপ্রবি প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে পরবর্তীতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে রিজেন্ট বোর্ড মেম্বারদের কয়েকজন সদস্যকে হাত করে স্বপদে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর প্রধান তত্বাবধায়কের দায়িত্ব পেয়ে দুর্নীতিতে মেতে ওঠেন আরো জোরালোভাবে। দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অধীনে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ৪৫০ কোটি টাকার কাজের যথাযথ মান নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এসব বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইউনুস শরীফের কাছে জানতে চাইলে বিভিন্ন ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার উল্লেখ করে বলেন , ‘বর্তমান  উপাচার্য আমাকে সম্মানিত করেছেন। কোন্ রাস্তায় যেতে হবে, কিভাবে সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে তা আমার জানা আছে। এই ফিল্ডে আমার চার-ছয় পেটানোর অভ্যাস আছে।’
এ বিষয়ে দুদক এর পটুয়াখালী জেলার উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আজও আমার কাছে প্রতিবেদন আসেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.সন্তোষ কুমার বসুকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ইউনূস শরীফের দূর্নীতির বিষয়ে আমি ফোনে কোনো কথা বলবো না।’
এ ব্যাপারে পবিপ্রবি'র ভিসি প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘দূর্নীতির অভিযোগে প্রকৌশলী  ইউনূস শরীফ গ্রেফতারের পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সে অবস্থায় আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকায় তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি।’

জনপ্রিয়