ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

সচেতনতাই এইডস মুক্ত থাকার মূলমন্ত্র 

মতামত

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 

প্রকাশিত: ০০:০০, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

সচেতনতাই এইডস মুক্ত থাকার মূলমন্ত্র 

বিশ্ব এইডস দিবস আজ। বাংলাদেশে প্রতিবারের মতো এবারো দিবসটি পালন করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব এইডস দিবস হলো একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেয়া হয়। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এইডস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং যারা এ রোগে মারা গেছেন তাদের প্রতি শোক জানাতে এ দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে। সরকারি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থাগুলো এবং বিশ্বে বিভিন্ন ব্যক্তি, এইডস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে আসছে।

হিউম্যান ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) আবিষ্কারের তিন দশক পরে এসে এর উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করার দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, গত ৩০ বছরেরও বেশি সময়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর ঠিক কোথা থেকে এইচআইভি ভাইরাস এসেছে, তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। গবেষকেরা বলেন, আফ্রিকার বেলজিয়ান কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসা থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের দিক প্রথম এইচআইভি ছড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। হাজারো মানুষের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে এই প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন তারা।

মধ্য আফ্রিকার দেশ বেলজিয়ান কঙ্গো ১৯০৮ থেকে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বেলজিয়ানদের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিলো। এখান থেকে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক মাধ্যমে মধ্য আফ্রিকায় এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ে বলে গবেষকেরা দাবি করেন।
গবেষকেরা বলছেন, ঔপনিবেশিক একটি শহর থেকে মারাত্মক এইডসের উৎপত্তি হয়। এখনকার কিনসাসা তখন লিওপোল্ডভিল নামে পরিচিত ছিলো, পরে মধ্য আফ্রিকার বৃহত্তম শহুরে এলাকা হয়ে দাঁড়ায়। এখানে নিকটস্থ বন থেকে সংগৃহীত বন্য পশুর মাংস বিখ্যাত ছিলো। অক্সফোর্ডের গবেষকেরা দাবি করেছেন, এইচআইভি-১ ভাইরাস আবিষ্কারের ৩০ বছর পর মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকারের এইচআইভি ছড়িয়ে পড়া, স্থানান্তরিত হওয়ার কারণ অজানাই ছিলো। মধ্য আফ্রিকার এইচআইভি-১ সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কিনসাসা থেকেই উৎপত্তি হয়েছিলো এই ভাইরাসের। মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সামাজিক পরিবর্তন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকা রয়েছে।

গবেষকেরা বলছেন, নতুন ধরনের পদ্ধতিতে এইচআইভি ভাইরাসের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা সম্ভব হয়েছে। শিম্পাঞ্জি, গোরিলা ও বানর থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ১৩টি ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এইচাইভি-১ এর এম গ্রুপটিই মানুষের মধ্যে বেশি ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এইচআইভি-১ ভাইরাসের গ্রুপ ‘এম’ এবং আরেকটি গ্রুপ ‘ও’ ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত একই হারে বাড়লেও পরে এম গ্রুপটি তিন গুণ হারে বেড়েছে। এর কারণ হতে পারে সুচের একাধিকবার ব্যবহার ও যৌনকর্মীদের কাছে যাওয়ার হার বেড়ে যাওয়া।
বিশ্ব এইডস দিবসটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা চিহ্নিত। বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সচেতনতার উদ্দেশে ঘোষিত, আটটি বিশেষ দিনের মধ্যে এটি একটি। বাকি সাতটি দিন হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস, বিশ্ব টিকা দিবস, বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস এবং বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্যমতে, বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৪ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বিশ্বে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এখন পর্যন্ত দেশে শনাক্ত হওয়া ৮ হাজার ৭৩২ জনের মধ্যে চিকিৎসার আওতায় এসেছে ৭৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশে এইচআইভির সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম। এর পরও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সংক্রমণ ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, সীমান্তবর্তী দেশগুলোয় এর সংক্রমণ বেশি। দেশে শিরায় মাদক গ্রহণকারীর পাশাপাশি যৌনকর্মী, তৃতীয় লিঙ্গ ও সমকামীদের মধ্যে এইচআইভির সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এইচআইভি সম্পর্কে অসচেতনতায় সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ে। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ব থেকে এইডস নির্মূলে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনের দ্বিতীয় ট্র্যাক স্ট্র্যাটেজি ৯৫-৯৫-৯৫ নিয়েছে বাংলাদেশ।

এ স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী এইচআইভি আক্রান্তদের শতকরা ৯৫ জনকে শনাক্ত করে ৯৫ শতাংশকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। সেইসঙ্গে চিকিৎসাধীন ৯৫ শতাংশের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির দুজন জনতথ্য কর্মকর্তা জেমস ডব্লু বুন এবং টমাস নেটটার দ্বারা ১৯৮৭ ক্রিষ্টাব্দের আগস্টে প্রথম বিশ্ব এইডস দিবসের পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির (বর্তমানে আনএইডস নামে পরিচিত) পরিচালক ড. জোনাথন মানের কাছে বুন এবং নেটটার তাদের ধারণাটির কথা জানিয়েছিলেন। ড. মান এই ধারণাটি পছন্দ করে এটির অনুমোদন করেন এবং ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসটি প্রথম পালন করা উচিত এমন পরামর্শের সঙ্গে একমত হন। সান ফ্রান্সিসকোর প্রাক্তন টেলিভিশন সম্প্রচার সাংবাদিক বুন ১ ডিসেম্বর তারিখটির সুপারিশ করেছিলেন। তার বিশ্বাস ছিলো মার্কিন নির্বাচনের পরে কিন্তু বড়দিনের ছুটির আগে, পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমগুলোর দ্বারা বিশ্ব এইডস দিবসের প্রচার সর্বাধিক হবে।

এর প্রথম দুই বছরে, বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য শিশু এবং তরুণদের লক্ষ্য করে তৈরি হয়েছিলো। এই প্রতিপাদ্যটি বেছে নেয়ার সময়, কিছু ঘটনা উপেক্ষা করার কারণে এর সমালোচনা করে বলা হয়েছিলো যেসব বয়সের লোক এইচআইভিতে আক্রান্ত হতে পারে, প্রতিপাদ্যটি রোগটিকে ঘিরে থাকা কিছু কালিমা মোচন করতে এবং পারিবারিক রোগ হিসেবে সমস্যাটির স্বীকৃতি বাড়াতে সহায়তা করেছিলো।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই এইডস বিষয়ে অবগত নন। অবশ্য এইডসের অন্তত একটি বাহক সম্পর্কে অবগত ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। ৩৬ শতাংশ নারী সবগুলো বাহক সম্পর্কে অবগত। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এ হার ছিলো ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ বাহক সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতার হার বেড়েছে ৭ শতাংশ। যদিও ৮-১০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিলো সরকারের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের থেকে ২০২২ এর অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৯৪৭ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ১২৮ জন। বাকি ৮১৯ জন এ দেশের নাগরিক। আর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার ৬৯ জনের এইচআইভি/এইডস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিলো প্রায় ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৯।

বিবিএস জরিপে জানা যায়, দেশে ১৪ হাজারেরও বেশি এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চিকিৎসার আওতায় এসেছেন ৮৪ শতাংশ। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে মারা যান ২০৫ জন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ২৩২ জনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮২০ জনের। এর মধ্যেই শুধু খুলনা বিভাগে গত ৬ মাসে (২০২২ ক্রিষ্টাব্দের নভেম্বর থেকে ২০২৩-এর এপ্রিল পর্যন্ত) ৪৬০ জনে এইডস পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে, নতুন করে ৪৫ জনের শরীরে এইডস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং ১৫ জন নারী রয়েছেন। শনাক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা খুলনা জেলায় সবচেয়ে বেশি। এ জেলায় এইডস আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। এ ছাড়া, বাগেরহাটে ১০ জন, যশোরে ৬ জন, নড়াইলে ৩ জন এবং বরগুনা, গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় ১ জন করে এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে, এইডস আকান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের; এর মধ্যে পুরুষ ৮ জন।

মৃতদের মধ্যে, যশোরের ৬ জন, খুলনার ৩ জন, নড়াইললের ১ জন সাতক্ষীরার ১ জন, বাগেরহাটের ১ জন ও মেহেরপুরের ১ জন। তারা সকলেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ ক্রিষ্টাব্দে। প্রথম যিনি শনাক্ত হয়েছিলেন, তিনি এখনো সুস্থভাবে বেঁচে রয়েছেন। তিনি নিয়মিতভাবে এইচআইভি চিকিৎসা কর্মসূচির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী, সমকামী, যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তি, প্রবাসী শ্রমিক, হাসপাতালে প্রসব সেবা নিতে আসা মা ও রোহিঙ্গা। আক্রান্তদের ৩৩ শতাংশ সাধারণ মানুষ। শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও একাধিক কারণ আছে এইচআইভি পজেটিভ হওয়ার। এইডসের জন্য দায়ী ‘হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস’ (এইচআইভি) নামের রেট্রোভাইরাসটি। মানুষের রক্ত ও অন্যান্য দেহ রসেই একমাত্র বেঁচে থাকে এই ভাইরাস। রোগীর দেহ থেকে অন্যের শরীরে ছড়ায় রক্ত ও বীর্যের মাধ্যমে। বীর্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় বলেই এই অসুখকে ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকি সর্দি-কাশিকেও আটকাতে পারে না শরীর। ফলে ‘অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি সিনড্রোম’ বা এইডসের প্রভাবে মৃত্যু অবধারিত হয়ে ওঠে। নানাভাবে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায়।

এইচআইভির প্রতিরোধের মূল উপাদান হলো শিক্ষা, সচেতনতা, ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা। মানুষের চিন্তায় ও আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। একাধিক যৌন সঙ্গী পরিহার করতে হবে। নিরাপদ যৌনক্রিয়ার অভ্যাসের মাধ্যমে অসংক্রামিত মানুষ এইচআইভি সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে পারে। নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ছাড়া যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে। অবাধ ও অবৈধ যৌন ক্রিয়া থেকে বিরত থাকাই হলো এইচআইভি সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। যারা শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নেয়, তাদের বেলায় উৎকৃষ্ট উপায় হলো ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ না নেয়া। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে এইচআইভি সংক্রমিত রোগীর সঙ্গে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ, ব্লেড বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার পরিহার করতে হবে।

পরিশেষে বলতে চাই, এইডস রোগীর সংক্রমণ রোধে প্রতি জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন; মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, তৃতীয় লিঙ্গ ও সমকামীদের মধ্যে এইচআইভি চিকিৎসা নিশ্চিত; আক্রান্তদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেসব কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা ও বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তাই এইডসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে মানুষকে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

জনপ্রিয়